Monday, 19 October 2020
Wednesday, 2 September 2020
Breaking News - পাবজি(PUBG) নিষিদ্ধ করল কেন্দ্রীয় সরকার
Saturday, 15 August 2020
ধোনি কাহানি - মানস রায় | Dhoni kahani Manas Roy
ধোনি কাহানি - মানস রায়
![]() |
MS DHONI |
ঝাঁকড়া চুল ওয়ালা লম্বা ছেলেটার হেলিকপ্টার শটের ঘূর্ণি তে দেশ বাসী যখন
সবেমাত্র বুঁদ হতে আরম্ভ করেছিল , আমি তখন নিতান্তই ছেলে মানুষ, একজন স্কুল পড়ুয়া। কুড়ির বিশ্বকাপ এর
সেই রঙিন দৃশ্য গুলোই হোক কিংবা দেশের মাটিতে ইংরেজ দের দুরমুশ করবার পর সতীৰ্থ যুবরাজ
সিংহের সাথে বাইকে করে মাঠ পরিক্রমার দৃশ্য, প্রত্যেক মাহি ভক্তের মতই আমার স্মৃতিতেও
সেগুলি যথেষ্ট উজ্জ্বল।
ঝাড়খণ্ড এর রাজধানী শহর রাঁচি থেকে স্বপ্নের উড়ান দেওয়া এহেন ভদ্র লোকটি মাঠ হোক বা মাঠের বাইরে, সর্বত্রই নিজেকে উপস্থাপন করেন একটু ব্যতিক্রমী ভঙ্গিমায় । নাহলে আপনি ই ভাবুন তো, ২০০৭ এর কুড়ির বিশ্বকাপে শেষ ওভারের ওইরকম উত্তেজনা পূর্ণ পরিস্থিতি তে নাম গোত্র হীন যোগীন্দর শর্মার হাতে, কোন বিশ্বাসে তিনি সাদা বল খানি তুলে দিয়েছিলেন। আসলে তিনি সত্যিই জহুরি, একজন দক্ষ দলনেতা, সোনা পরখ করতে একদমই ভুল হয়না তার । কমবেশি তার প্রত্যেক টি পদক্ষেপেই আমরা সেরকমই ইঙ্গিত পাই।
![]() |
2007 t20 world cup |
নিঃশব্দে ছেড়েছিলেন টেস্ট ক্রিকেট, হয়ত সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের খেলায় নিজেকে
আরও ক্ষুরধার করে তুলবার জন্য। কিন্তু ২০১৯ এর বিশ্বকাপের পর নিজেকে পরিবেশন করার তেমন
সুযোগ তিনি পাননি বললেই চলে। চুপিসারে পড়ে ফেলেছিলেন দেওয়াল লিখন টিও।
কুড়ির বিশ্বকাপ জয় করেই শুরু হয়েছিল তার স্বপ্নের দৌড়। আর এবারের দুই হাজার কুড়ি তো, সত্যি সত্যিই স্বপ্ন ভঙ্গের বছর, তাই তিনি হয়ত মনে করেছেন কুড়িতেই ইতি টানা ভালো।
![]() |
MS DHONI(2019) |
এবারেও তাই নিজস্ব ঢঙে কোনোরকম আগাম পূর্বাভাস ছাড়াই ইতি ঘোষণা করলেন নিজের
ক্রিকেট কেরিয়ারের। এটা শুধু মাত্র এম. এস ধোনির পক্ষেই সম্ভব।
তবে চ্যাম্পিয়ন দের কেরিয়ারের ইতি একেবারে পড়ে না, অচিরেই হয়ত সকল কে অবাক
করে আবার নতুন কোনো অন্য শুরুর খবর নিশ্চই শোনাবেন ভক্তদের।
তিন তিনটি আন্তর্জাতিক ট্রফি সমেত আরও অনেক অনেক কৃতিত্বের জন্য, দেশবাসী
তো বটেই, এই গ্রহের অনেক ক্রিকেট ভক্তদের হৃদয়ে সম্রাটের আসনেই থাকবে একটি নাম -এম.
এস. ধোনি।
Monday, 10 August 2020
2020 আইপিএলের স্পনসর কি তবে পতঞ্জলি? IPL 2020 title sponsorship
2020 আইপিএলের স্পনসর কি তবে পতঞ্জলি?
লাদাখে ভারতীয় ভূখণ্ডে চিনা দখলদারির পরই চিনা পণ্য বয়কটের ডাক উঠেছিল ভারতে। ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট আইপিএল-এর টাইটেল স্পনসর ভিভো-কে নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল বিভিন্ন মহলে। এরপরই আইপিএলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয় বিসিসিআই-এর। ফলে জল্পনা শুরু হয়েছিল এবার কারা আইপিএল টাইটেল স্পনসর হবে? এই জটিল পরিস্থিতিতে ক্রিকেটের এই মেগা ইভেন্টের সঙ্গে যুক্ত হতে বহু সংস্থাই কোমর বেঁধেছে। এই তালিকায় আচমকাই ভেসে উঠল বাবা রামদেবের কোম্পানি ‘পতঞ্জলি’। সর্বভারতীয় ইংরেজি বিজনেস দৈনিক ‘ইকোনমিক টাইমস’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পতঞ্জলির মুখপাত্র এসকে তিজারাওয়ালার এক বিবৃতি ঘিরেই এই জল্পনা তীব্র হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ‘এবারের আইপিএলে আমরা টাইটেল স্পনসর হতে চাই। গোটা বিশ্বে পতঞ্জলি ব্র্যান্ডের বাজার তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য’। তিনি আরও জানিয়েছেন, ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডকে আমরা প্রস্তাব পাঠানোর চিন্তাভাবনা করছি। পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিনা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হওয়ার পর থেকেই চিনা পণ্য বর্জনের ডাক ওঠে সারা দেশ জুড়েই। এই পরিস্থিতিতে আইপিএল-এর টাইটেল স্পনসর হিসেবে ভিভোর থেকে যাওয়ায় সোশাল মিডিয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন অসংখ্য মানুষ। চাপের মুখে পড়ে ভিভো এবারের আইপিএল থেকে সরে যায়। সেই জায়গায় এবার আসতে চাইছে রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি। তবে বিশেষজ্ঞ মহলের মতে আইপিএল-এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারলে বিপুল লাভ হবে রামদেবের সংস্থার।
source:calcutta news
শ্রীময়ী মুখার্জীর কবিতা - ফিরে দেখা ছেলেবেলা | poem
কবিতা
''ফিরে দেখা ছেলেবেলা''
শ্রীময়ী মুখার্জী
![]() |
শ্রীময়ী মুখার্জী |
কোথায় আছিস?
আমার ছেলেবেলা----
,কার সঙ্গে আছিস?
আমার ছেলেবলা----
আমায় বুঝি ভুলে গেলি?
দুষ্টু ছেলেবেলা-----
এখনো কী আর আগের মতো,
সূর্য ডোবার পরেই
ফিরিস?
বৃষ্টিভেজা মাঠে খেলা,
তারপর, মায়ের বকুনি?
আচ্ছা,এখনো কি পড়তে বসে
ঢুলিস?
নামতার পাতায়,
দুই-এক্কে-দুই আর তিন-চারে বারোর
বদলে অন্য সংখ্যা,
তখনি পিঠে পড়তো
এক কষিয়ে চিরুনির বাড়ি;
মনে আছে ছেলেবেলা?
রাত বাড়লেই দিদার গল্পে
আসে,
এখনো কোনো রাজপরী?
এখনো কী গরম পড়লেই
কড়া দুপুরে বেড়োস
আম চুরি করতে?
ধরা পরলেই দে ছুঁট;
আমার ছেলেবেলা....
এখনো কি তেমনি আছিস
আমার ছেলেবেলা.....!!!
এখনো কি মেঘলা আকাশ
মাথায় নিয়ে,
পুকুরে ঝুপ করে লাফিয়ে
স্নান করতে যাস?
তারপর, দুপুরে ভাত
খেয়েই এখনো যাস সেই মিঠির বাড়ি?
সেখানে গিয়ে পুতুল
খেলিস?
হয় তোদের দেখা?
ছেলেবেলা.....
আজ অনেক টা পথ পেরিয়ে
এসেছি,
আজ তোর হাত ছেড়ে,
অন্য হাতে হাত রেখেছি,
তোর কাছেই রেখে এলাম
সব খেলার জিনিস,
তোর কাছেই রেখে এলাম
আমার ছেলেবেলা....
আজ আর সমাজ
সেই রকম নেই বড্ড
অদ্ভুত,
জানিস ছেলেবেলা?
দেখিস আবার ফিরবো আমরা,
আবার মেঘ,
মাটি,নদী,পাখির
খোঁজ নেব আমরা,
রাগ করিস না ছেলেবেলা,
আবার দেখা হবে আমাদের,
আবার ফিরবো আমরা।
রাত পোহালেই নতুন ভোরে
ছুট্টে যাব আমরা,
আবার সেজে উঠবে নতুন
সাজে।
রাগ করিস না
ছেলেবেলা.....
এখন যাই? আবার কথা হবে,
আবার আসবো ফিরে,
ভালো থাকিস,আমার
ছেলেবেলা!!!
কবি পরিচিতি
শ্রীময়ী মুখার্জী,
জন্ম:১৯৯৭ সালের ২৮ জুলাই। নিবাস: নিউ আলিপুর( সাউথ কলকাতা ).. ছাত্রী জীবন কাটে সাহাপুর
গার্লস হাই স্কুল
লেখালেখিতে মন থাকলেও
ওকালতি কেই নিজের পেশা হিসেবে বেছে নেন।
কল্পনাহীন নিখুঁত বাস্তবিক এই পেশায় যুক্ত থাকার ফলে বহু বিচিত্র
ঘটনার সম্মুখীন হয় এবং ধীরে ধীরে আবার কলম হাতে উঠে আসে। ওকালতি ও লেখালেখির
পাশাপাশি চলতে থাকে ভারতনাট্যম্ ও রবীন্দ্রনৃত্যের প্রশিক্ষণ। আবৃতি ও
সাহিত্যচর্চা তেও রুচি রাখেন।
কোনো একটি বিষয়ে নিয়ে সীমাবদ্ধ না থেকে সামাজিক, প্রাকৃতিক
ইত্যাদি বিষয় লিখতে আগ্রহী।।।
*লেখা পাঠান এই ঠিকানায়
Email-srobonika@gmail.com
WhatsApp - +919749257572
+918116603740
Thursday, 6 August 2020
রবি ঠাকুর স্মরণে সিদ্ধার্থ বাসুর কবিতা - সভ্যতার দেবতা ও অঙ্কন শিল্পী অভ্রতনু গাঙ্গুলী |Poem
কবিতা
'সভ্যতার দেবতা'
সিদ্ধার্থ বাসু
![]() |
অঙ্কন শিল্পী- অভ্রতনু গাঙ্গুলী |
বিপন্ন সভ্যতা ,
ধ্বংস দেখেছে বারবার;
যুদ্ধ দেখেছে অনন্ত।
হিংসার সাথে, লড়তে লড়তে;
আজ সে ক্লান্ত।
কালচক্রের জটিল পাশে,
আজও লড়ে চলেছে সে;
এক ভয়াল ত্রাসের সাথে-
মানুষকে বাঁচাতে, মানুষের পাশে দাড়িয়ে।
তবু সভ্যতা, নিজে বাঁচতে চায়;
বাঁচতে চায় অফুরান প্রাণশক্তি নিয়ে।
বিশাল এই প্রাণহীন শবের মাঝে;
সে খুঁজে পেয়েছে তোমাকে-
'জীবন দেবতা ' রূপে।
তুমি যে মৃত্যুর চেয়ে বড় ;
হে 'মৃত্যুঞ্জয়'-
এই সত্যই ,আজ তার বড় প্রিয়,
এ সত্যের জোড়েই আজও;
সে লড়াই করে;
মৃত্যুমিছিলে, একা দাঁড়িয়ে।
হাতে তার 'গীতবিতান',
আর মনেতে শুধুই রবীন্দ্রনাথ।
কবি পরিচিতি
সিদ্ধার্থ বাসু, কোচবিহারে জন্ম ১৯৯৪ সালের ৯ ই নভেম্বর। বেড়ে ওঠা এই রাজ শহরেই, জেনকিন্স স্কুলের গন্ডী ছাড়িয়ে প্রথমে আচার্য ব্রজেন্দ্রনাথ শীল মহাবিদ্যালয় থেকে শারীরবিদ্যায় (সাম্মানিক) স্নাতক ও পরবর্তী কালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পড়াশোনার পাশাপাশি সঙ্গীত , চিত্রকলা ও ভাস্কর্যের প্রতি টান ছোট থেকেই। পাশাপাশি চলে সাহিত্যের প্রতিঝোঁক, সমকলীন সমাজ কে নিয়ে লেখিলেখিতেই বেশি আগ্রহী।
*লেখা পাঠান এই ঠিকানায়
Email-srobonika@gmail.com
WhatsApp - +919749257572
+918116603740
Monday, 3 August 2020
সুব্রত আচার্য্যের কবিতা - মা | Poem
কবিতা
' মা '
সুব্রত আচার্য্য
![]() |
সুব্রত আচার্য্য |
মা তোর কোলেতে জন্ম জগতের
তোর কোলেতেই উন্মুক্ত হয় নয়নের ।
মা তুইতো বেদপুরাণের গরিমা
তুইতো মহাকাব্যের গাঁথা ।
মা তুইতো পরিবারের ভিত্তি ভূমি
তোর দেওয়া কপালে টিকা
মৃত্যুও আসার আগে দুবার ভাবে ।
মা তোর হাতের স্পর্শে
দুই টুকরো রুটিও প্রাসাদেররূপ নেয়
মা তোর চরণের স্পর্শে জল
গঙ্গা জলে পরিণত হয় ।
মা তুইতো ঘরের উঠানের
তুলসীর স্বরূপ ।
তোর দেওয়া জলে
চারাও বটবৃক্ষে পরিণত হয়।
মা তোরই অপমানে
ভূমির হৃদয় পর্যন্ত কান্দে।
মানব সমাজের আধুনিকীকরণে
ঘর স্বরূপ রাজপ্রাসাদে
গৃহপালিত রাখতে পারে,
রাখতে পারে না মাতৃস্বরূপ দেবীকে,
মায়েদের স্থান হয় রাস্তার ধারে কিংবা বৃদ্ধাশ্রমে
স্বার্থপরতার মনোভাবে।
মাকেও ভাগাভাগি করতে সম্পত্তি স্বরূপ
এক মুহূর্ত দ্বিধাবোধ করে না ।
তোকে মন্দিরের দেবীর স্থান থেকে
অকথ্য ভাষাতে পর্যন্ত নিয়ে আসে।
মা তুইতো মানুষ সরোবরের মত মমতাময়ী
তবুও তুই এত কেন নির্বোধ ?
সুব্রত আচার্য্য, জন্ম ১৯৯৩ সালের ১৩অক্টোবর, বাঁকুড়া
জেলায়।বেড়েওঠা বাঁকুড়া জেলা জয়পুর গ্রামে । জয়পুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের
গন্ডি পেরিয়ে প্রথমে নেতাজি মহাবিদ্যালয় থেকে শিক্ষা বিজ্ঞানে স্নাতক
পরবর্তীকালে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর লাভ করে। সমকালীন সমাজকে
নিয়ে লেখা কয়েকটি গ্রন্থ হল- সমাজতত্ত্ব এবং সামরিক ঘটনাবলী, শিক্ষা
ব্যবস্থাপনা, উনবিংশ শতকের শিক্ষার ইতিহাস ইত্যাদি।