![]() |
Kamteswari Temple |
রাজা কান্তেশরের মৃত্যুর পর এই রাজ্য কিছুকাল শাসকহীন অবস্থায় থাকে। তারপর কোচবিহারের বর্তমান রাজবংশের আদিপুরুষ বিশ্বসিংহ আবির্ভূত হন। কিন্তু তিনি নিজে রাজ্যভার গ্রহণ না করে প্রথমতঃ ভাই চন্দনকে রাজপদে প্রতিষ্ঠিত করেন। চন্দন লোকান্তুর গমন করার পর তিনি নিজে রাজ্যভার গ্রহণ করেন। এই বংশের ষষ্ঠ ভূপতি খ্যাতনামা মহারাজ শ্রী প্রাণনারায়ণের সময় গোসানীমারীতে গোসানীর বর্তমান মন্দির নির্মিত ও দেবী কামতেস্বরীর পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।
গোসানী-মঙ্গল কাব্য এ উল্লিখিত আছে যে মোগল আক্রমণের সময় দেবীকে কাজলী কুড়ায় বিসর্জন করা হয়। মহারাজ প্রাণনারায়ণ স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে মহামায়াকে বর্তমান স্থানে সংস্থাপন করেন। এই সম্বন্ধে এইরূপ জনমত প্রবাদ আছে যে কবচরূপিণী দেবী ভূনা নামক একজনের জালে আবদ্ধ হয়ে স্বপ্নে এই রূপ আদেশ করেন যে, "আমাকে কাজলীকুড়া থেকে উদ্ধার করে পাঠহস্তীর নীচে সংস্থাপন করতে হবে ;হাতী নিজে সদিচ্ছায় যে স্থানে দাঁড়িয়ে পড়বে সেই স্থানে আমার মন্দির নির্মাণ করতে হবে।" উপরের নির্দেশ অনুসারে 1587 শকে গোসানীমারীতে বর্তমান কামতেস্বরী মন্দির
প্রতিষ্ঠিত হয়। মন্দিরের দরজার প্রস্তরফলকে নিম্নলিখিত সংস্কৃত শ্লোক লিখিত হয়।
ওঁ নমঃ শ্রী গনেশায়
সম্মত্যাদ্বিষদেক জিত্বর ভূজাদন্ডপপ্রতাপার্য্যম।
ক্রীড়াকন্দুক বেগবদদ্ধিত দিশঃ শ্রীপ্রাণভূমিপতেঃ।
শাকাবদেঁ নগনাগ মার্গণহিম জ্যোতির্ন্মিতে নির্ন্মতঃ।
শ্রীভাজা কবি মণ্ডলেন ভজতা ভব্যোঁ ভবানীমঠঃ।।
সম্মত্যাদ্বিষদেক জিত্বর ভূজাদন্ডপপ্রতাপার্য্যম।
ক্রীড়াকন্দুক বেগবদদ্ধিত দিশঃ শ্রীপ্রাণভূমিপতেঃ।
শাকাবদেঁ নগনাগ মার্গণহিম জ্যোতির্ন্মিতে নির্ন্মতঃ।
শ্রীভাজা কবি মণ্ডলেন ভজতা ভব্যোঁ ভবানীমঠঃ।।
দেবীর পরিচারকদিগকে দেউরি বলে এবং সেবাইত বা পূজক, বড় দেউরি নামে বলা হয়। প্রতি বৈশাখ মাসে দেবীর দর্শনে বহু যাত্রীর আগমন হয়।
আরও পড়ুন...
আরও পড়ুন...
No comments:
Post a comment